কখন কখন বিষয়ের কোন গুণ কি দোষ আগে লিখিয়া তার পর বক্তব্য লিখিতে হয়। যেমন—“সুন্দর পাখী উড়িতেছে।” “দুঃখী হরি পীড়িত হইয়াছে।” এখানে, পাখীটির একটি গুণ যে, সে সুন্দর; ইহা বলা হইল। হরির একটি দোষ যে, সে দুঃখী; ইহা বলা হইল। এগুলিকে বিশেষণ বলে। “সুন্দর” “দুঃখী” এই দুটি বিশেষণ। যাহার বিশেষণ, তাহাকে বিশেষ্য বলে। “পাখী” “হরি” ইহারা বিশেষ্য।
বিশেষণ উপযুক্ত হইতে পারে, অনুপযুক্তও হইতে পারে। উপযুক্ত বিশেষণ, যেমন—
ফলবান্ বৃক্ষ। নির্মল আকাশ।
বলবান্ মনুষ্য। বেগবতী নদী।
অনুপযুক্ত বিশেষণ, যেমন,—
নির্মল বৃক্ষ। ফলবান্ মনুষ্য। বেগবান্ আকাশ।
এইগুলি অনুপযুক্ত। বৃক্ষের সমলতা বা নির্মলতা নাই, এই জন্য নির্মল বৃক্ষ বলা যায় না। মানুষে কোন ফল ফলে না, এই জন্য ফলবান্ মনুষ্য বলা যায় না। আকাশের বেগ নাই, এজন্য বেগবান্ আকাশ বলা যায় না। যে বিশেষণ উপযুক্ত তাহাই লিখিবে, যাহা অনুপযুক্ত তাহা লিখিও না।
৩। নীচের লিখিত বিশেষ্যের সঙ্গে উপযুক্ত বিশেষণ যোগ কর।
সমুদ্র, চন্দ্র, সূর্য, হস্তী, বন, সংসার, স্ত্রী, কন্যা, পুত্র, বালিকা, দেশ, রাত্রি, আসন, পুতুল, হংস।
৪। নীচের লিখিত বিশেষণের পর উপযুক্ত বিশেষ্য যোগ কর।
নশ্বর, পবিত্র, দীন, অযোগ্য, কষ্টসাধ্য, গুণবতী, সুলভ, সদাচার, শান্ত, পরিষ্কার, অজ্ঞাত।
“ফলবান্ বৃক্ষ”, “বলবান্ পুরুষ”, “নির্মল আকাশ”, “বেগবতী নদী” বলিলে বাক্য সম্পূর্ণ হইল না। “ফলবান্ বৃক্ষ” সম্বন্ধে কি বলিতেছ? “বলবান্ পুরুষ” সম্বন্ধে কি বলিতে চাও? এখানে “ফলবান্ বৃক্ষ”, “বলবান্ পুরুষ” বিষয়; কিন্তু বক্তব্য কই? বক্তব্য লিখিলে তবে বাক্য সম্পূর্ণ হইবে। যেমন—
ফলবান্ বৃক্ষ কাটিও না। নির্মল আকাশ দেখিতে সুন্দর।
বলবান্ পুরুষ সাহসী হয়। বেগবতী নদী বহিতেছে।





